WhatsApp-এ কবিতাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো তাই পোস্ট করলাম।
গুগল যদি শেখায় সবই
কেমন করে চলবে?
ঠাম্মা দিদা আদর করে
গল্প কি আর বলবে?
দাদুর কাছে শক্ত বানান
কেউ কি এখন শিখছে?
স্লেট-পেন্সিলসামনে রেখে
বাচ্ছারা কি লিখছে?
অনলাইনে অঙ্ক শিখে
কানমলা কেউ খায় না,
ভোরবেলাতে ফাটিয়ে গলা
নামতা শেখা হয় না।
সেলফোনেতেই হচ্ছে পড়া
গুগল আসল মাষ্টার
ব্ল্যাকবোর্ডে আর পড়ছেনা দাগ
হারিয়ে গেছে ডাষ্টার।
নিলডাউনের চল কি আছে?
বেঞ্চে দাঁড়াও! বন্ধ,
বকলে টিচার পাচ্ছে লোকে
অত্যাচারের গন্ধ।
ক্লাস ফোরেতে নাইনটিফাইভ!
অমনি ভুরু কুঁচকে,
বাপ-মা ভাবেন একশো কেন
পাচ্ছেনাকো পুঁচকে?
শুনছি এখন আইকিউটা
থাকতে হবে বিস্তর,
পরীক্ষাতে একশো পেতে
সেটাই নাকি অস্তর
আইকিউতে কমতি হলেই
বাপ মা করেন মুখ ভার,
দশ বছরেও বাচ্ছারা তাই
ডিপ্রেশনে জেরবার।
আমরা ছিলাম মূর্খ গবেট
নয়কো মোটেই বোদ্ধা,
কিন্তু আবার ছোট্টো থেকেই
খুব লড়াকু যোদ্ধা।
কানমলা আর চড়চাপাটি
এসব ছিলো জলভাত,
থাকতো ক্লাসে বেতের সারি
কথায় কথায় হাত পাত!
কানটি ধরে বেঞ্চে উঠে
দাঁড়িয়ে হতো ক্লাস পার,
নিল-ডাউনের পড়তো সারি
বাইরে ক্লাসের দরজার।
কাউন্সেলিং এই কথাটা
জানতো না কেউ স্পষ্ট ,
হজমিগুলি, কুলের আচার
ভুলিয়ে দিতো কষ্ট।
শ্রদ্ধা এবং ভয় মেশানো
শিক্ষিকা আর শিক্ষক,
শাস্তি তাঁরা দিতেন বটে
ছিলেন তাঁরাই রক্ষক।
যাঁদের দেখে বলতো সবাই
আসছে রে ঐ বাপরে!
তাঁরাই আবার রেজাল্ট দেখে
পিঠ দিয়েছেন চাপড়ে।
লাইন শুধু ট্রেনের হতো,
পুজোর ছুটি পড়লে
অনলাইনে দৃশ্য দেখা
রেলগাড়ীতে চড়লে।
এখন সবাই ছোট্টো থেকেই
অনেক বেশী পন্ডিত
কথায় কথায় গুগল খোলে
শক্ত তাদের তাই ভিত।
শুনছি এখন টিউটোরিয়াল
এমনি করেই চলবে,
কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক
গুগল স্যারই বলবে।
নতুন করে শিখতে হবে
বানান এবং শব্দ,
পক্ককেশের নেই কোনও দাম
শেষ বয়সে জব্দ।

Very nicely penned.
LikeLiked by 1 person
👍🙏
LikeLike