ত্রিবেণী সঙ্গম হল তিনটি নদীর সঙ্গম। সঙ্গম হিন্দুদের জন্য একটি পবিত্র স্থান। এখানে একটি স্নান একজনের সমস্ত পাপ দূর করে এবং পুনর্জন্মের চক্র থেকে মুক্ত করে বলে বিশ্বাস। প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ) এর ত্রিবেণী সঙ্গম হল দুটি নদী গঙ্গা, যমুনা এবং ভূগর্ভস্থ সরস্বতী নদীর সঙ্গম।
নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাস থেকে পরিযায়ী পাখিরা এখানে ভিড় করে, তাদের হয় পবিত্র নদীতে একটি স্বতন্ত্র উপস্থিতি। সীগালরা ইউরেশিয়ার কঠোর শীত থেকে বাঁচতে উপমহাদেশে চলে আসে।

এলাহাবাদের ত্রিবেণী সঙ্গমে বার্ষিক দর্শনার্থীদের আগমন — সাইবেরিয়ান গাল — শীতের সূচনার সূচনা করে। শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে, এই সাইবেরিয়ান পাখিরা তাদের ডানা ছড়িয়ে সাইবেরিয়া থেকে আফগানিস্তান, মঙ্গোলিয়া এবং তিব্বত হয়ে হিমালয়ের উচ্চ পর্বতমালা অতিক্রম করে হাজার হাজার কিলোমিটার উড়ে আসে।
এই সাইবেরিয়ান পাখিরা শীতের মৌসুম জুড়ে সঙ্গমে একটি মন্ত্রমুগ্ধকর দৃশ্য উপস্থাপন করে যেন লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী যারা মাসব্যাপী মাঘ মেলার জন্য বিশেষ করে জানুয়ারি মাসে এখানে আসেন তাদের সাথে পবিত্র স্নান করার অপেক্ষায়। এই পাখিগুলিদের তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের নৌকাগুলিতেও বসে থাকতে দেখা যায়। গঙ্গা-যমুনার জলে পাখিদের শুভ্রতা চকচক করে।

এই পাখিরা চৌম্বকীয় কম্পাসের সূঁচের মতো তাদের আগমনের পথ ম্যাপ করে এবং বাড়ি ফেরার পথে সঠিক উড়ালপথ অনুসরণ করে। পরিযায়ী পাখিরা সূর্য এবং তারা, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র এবং সম্ভবত মানসিক মানচিত্র ব্যবহার করে নেভিগেট করে।
এসব পাখির অভিবাসনে আশ্চর্যজনক আচরণ লক্ষ্য করা গেছে। তরুণরা প্রতি বছর হাজার হাজার পরিযায়ী পাখিকে পবিত্র শহর এলাহাবাদে নিয়ে আসে। কিন্তু যখন তারা ফিরে যায়, তখন স্ত্রী পাখিরা পুরো পালের নেতৃত্ব দেয়।
কোন অজানা জায়গায় প্রথম যাত্রার সময়ও অল্পবয়স্কদের এত দূরবর্তী স্থানে কি বা কিভাবে পথ দেখায় তা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি।

Nice reading
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ
LikeLike
পড়লাম।
সত্যিই পরিযায়ী পাখিরা প্রতিবছর পথ চিনে কিভাবে যে হাজার হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে, তা বিস্ময়করই বটে।
LikeLiked by 1 person
সত্যি, প্রকৃতির বিস্ময়ের শেষ নেই।
LikeLike
একদম। 👍🙂
LikeLiked by 1 person