বলিউডের থ্রিলার নয়, সত্য কাহিনী

সংবাদপত্রে এই খবরটা পড়ে বলিউডের থ্রিলারের ঠিক এক কাহিনী বলে মনে হলো। একজন মহিলা পুলিশ মধ্য প্রদেশের এক ভয়াবহ খুনি পলাতককে গ্রেপ্তার করার জন্য নতুন বধূ হিসাবে নাটক করলেন।

সাব-ইন্সপেক্টর মাধবী অগ্নিহোত্রি নকল বিয়ের জাল বেঁধে হত্যাসহ ১৫ টিরও বেশি ফৌজদারি মামলায় কাঙ্ক্ষিত একজন কঠোর অপরাধী বালকিশন চৌবেকে গ্রেপ্তার করেছিলেন। তিনি ছত্তরপুরের পুলিশদের কাছ থেকে সর্বদা পালিয়ে বেড়াতেন।

তবে এবার পুলিশ তার জন্য বেশ প্রস্তুত ছিল। তারা জানত যে তিনি বিয়ে করার জন্য একজন মহিলাকে খুঁজছিলেন এবং সেই সময় থেকেই পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল। মাধবীকে এক পাত্রী হিসেবে তৈরি  করা হয়। মাধবী চৌবের নিকট নিজেকে রাধা লোধি বলে পরিচয় দিয়ে কথা শুরু করে। আর বলেন তিনি ছত্তরপুর গ্রামের নিবাসী এবং দিল্লিতে শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে তিনি তার গ্রামে বেড়াতে এসেছেন।

একজনকে হত্যার জন্য মাথায় ১০,০০০ টাকার পুরষ্কার বহনকারী চৌবে এই টোপ খেয়ে ফেলে এবং তাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেয়। তিন দিনের ফোনে কথোপকথনের সময় মাধবী অগ্নিহোত্রি গুন্ডাটিকে নিজের প্রেমে ফাঁসিয়ে নেয় এবং মন্দিরে ছল করে তাকে ডাকে। বিবাহের আগে তিনি একবার দেখা করতে চেয়েছিলেন।

মিলনের দিন নাগরিক পোশাক পরিহিত সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা মন্দিরটিকে ঘিরে ফেলে। চৌবে নির্ধারিত মুহুর্তে পৌঁছে যায়। চৌবেকে উপস্থিত পেয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশবাহিনী। সশস্ত্র চৌবে আচমকা আক্রমণে পুরোপুরি হতচকিত হয়ে যায়।

খবরে প্রকাশ যে চৌবেকে আদালতে হাজির করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এমপি পুলিশের স্মার্টনেসকে ধন্যবাদ। বলিউডের সিনেমারুপী এক কাহিনীকে জীবিত করে তোলার জন্য সম্মান করি সাব-ইন্সপেক্টর মাধবী অগ্নিহোত্রিকে।

2 thoughts on “বলিউডের থ্রিলার নয়, সত্য কাহিনী

I'd love to hear your thoughts on this post! Please leave a comment below and let's discuss.