একটি ছোট গল্প বলি আমায় বড়ই আকর্ষিত করে এই গল্পটি। আজকে WhatsApp গ্রুপে এটা আবার পড়ে মনে হলো আমি এখানে শেয়ার করি।
কালিদাস – মা আমি বড়ই তৃষ্ণার্ত , একটু জল দিন বড়ই পূণ্য হবে ।
বৃদ্ধা – বাবা তোমায় তো আমি চিনি না, নিজের পরিচয় দাও, আমি অবশ্যই জল খাওয়াবো।
কালিদাস বললেন – আমি পথিক, দয়া করে একটু জল দিন।
বৃদ্ধা বললেন – তুমি পথিক কি করে হতে পারো? পথিক তো কেবল দুজন, এক সূর্য দ্বিতীয় চন্দ্রমা এরা কখনো থামেন না সর্বদাই চলায়মান। তুমি এদের মধ্যে কে সত্যি করে বল ?
কালিদাস বললেন – তাহলে আমি অতিথি , বড়ই তৃষ্ণার্ত দয়া করে আমাকে একটু জল পান করান।
বৃদ্ধা বললেন – তুমি অতিথি কি করে হতে পারো? সংসারে দুজনই মাত্র অতিথি, এক অর্থ বা সম্পদ আর দ্বিতীয় যৌবন – এরা আসেন আবার চলেও যান, সত্যি করে বলো তুমি কে?
কালিদাস তর্কে পরাজিত এবং হতাশ হয়ে বললেন – আমি একজন সহ্যশীল, এবার অন্তত একটু জল দিন!
বৃদ্ধা বললেন – না না সহ্যশীল তো মাত্র দুজন, এক ধরিত্রী, যিনি পাপী-পুণ্যাত্মা সকলের ভার গ্রহণ করেন বা বহন করেন। দ্বিতীয় বৃক্ষ, তাকে যতই পাথর দিয়ে আঘাত করো তবু সে মিষ্টি ফল দিয়ে সেবা করে যায় । সত্যি বলো তুমি কে?
কালিদাস বিরক্ত হয়ে চেঁচিয়ে বললেন – তাহলে আমি উদ্ধত হঠকারী এবার অন্তত একটু জল তো দিন ।
বৃদ্ধা বললেন – অসত্য বলছো।হঠকারী দুইঃ এক নখ আর দ্বিতীয় চুল এদের যতবারই কাটো এরা বার- বার বেড়েই ওঠে । সত্য বল ব্রাহ্মণ তুমি কে ?
অপমানিত পরাজিত কালিদাস বললেন – তাহলে ধরুন আমি মূর্খ, এবার একটু জল দেবেন কি ?
বৃদ্ধা বললেন – না, তুমি মূর্খ কি করে হতে পারো? মূর্খ তো দুজন! এক এমন রাজা, যিনি বিনা যোগ্যতাতেই সবার উপর শাসন করেন এবং আর দ্বিতীয় এমন রাজপন্ডিত বা পুরোহিত যিনি রাজা কে প্রসন্ন করার জন্য ভুলভাল তর্কের সাহায্যে ভুলকেও সঠিক প্রমাণ করার চেষ্টা করেন।
কালিদাস – আর কিছু না বলতে পেরে সটান বৃদ্ধার পায়ে পড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।
বৃদ্ধা বললেন – ওঠো বৎস কন্ঠস্বর অন্যরকম হওয়ায় কালিদাস চোখ তাকিয়ে অবাক দৃষ্টিতে দেখলেন স্বয়ং মা সরস্বতী তাঁর সামনে দণ্ডায়মান । কালিদাস করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।
মা বললেন – বৎস সর্বদা মনে রেখো শিক্ষা বা বিদ্যা কখনো দম্ভ বা অহংকার দেয় না, যা দেয় তা হল বিনয় এবং বিনম্রতা।
চলুন আমরা সকলেও বিনয় এবং বিনম্রতার সাধনায় রত হই ।

সত্যিই আমিও আকর্ষিত হলাম৷ আমার ফেসবুকে শেয়ার করছি৷
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ! 👍👍
LikeLike