বাগদাদে দিওয়ালী

এবার বহুবছর পরে দুর্গাপূজায় বাড়ি গেলাম না। তার একটাই কারণ, ছুটি মাত্র দুই সপ্তাহ। তাহলে পুত্রের জন্মদিনের একদিন আগেই ফিরে আসতে হয়। তাই ছেলের জন্মদিন এবং কালীপূজা + দীপাওালি একসাথে কাটানোর প্ল্যান হয়।

আমি বাগদাদে ফিরি ২৯/১০/২০২২ তারিখে। সেইদিন সন্ধ্যায় ভারতীয় দূতাবাস দিওয়ালী সন্ধ্যা উদযাপন করবে স্থির করে। সময় মতো নিমন্ত্রণ কার্ড পেয়ে যাই। ভাবলাম বেশ ভালোই; বাড়ি থেকে ফিরে এসে খারাপ লাগবেনা। পরের দিন রবিবার। এই প্রান্তে রবিবার থেকে কর্ম-সপ্তাহ শুরু হয়।

আমি সন্ধ্যা ৬ঃ৩০-এ পৌঁছে যাই। দূতাবাস আমার বাড়ির সমীপে। হেঁটে মিনিট দশেক লাগে। গিয়ে দেখই এবার বিশাল ব্যাবস্থা। প্রায় ২০০ জনেরও বেশী নিমন্ত্রিত লোকেরা উপস্থিত। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন অন্যদেশের কিছু রাজদূত, সরকারী অধিকারিগন, স্থানীয় ইরাকী বিশিষ্ট ব্যাক্তিগন, আর কিছু মুষ্টিমেয় ভারতীয় নাগরিক।

তাম্বোলা দিয়ে শুরু হলো প্রোগ্রাম, তারপরে স্থানীয় ইরাকী মেয়েরা বলিউডের হিন্দি গান শোনালো। ভারতীয় দূতাবাস স্থানীয় ইরাকীদের যোগ শেখানোর ব্যাবস্থা করেছে। সেই যোগ ছাত্রীরা তাদের যোগ প্রদর্শন করলো, স্থানীয় কোম্পানিতে সুরক্ষা ব্যবস্থায় কার্যরত কিছু গোর্খারা খুকরি নৃত্য প্রদর্শন করলো।

নৈশভোজে পুরি, দাল, কশা মাংস, চিকেন বিরিয়ানি, রাইতা, বেগুল ভরওান (Stuffed Brinjal) ছিল। সঙ্গে ছিল আইস্ক্রীম & গোলাপজামুন। পানীয়র মধ্যে ছিল চা, কোক, ওহিস্কি, বিয়ার, ওয়াইন, ইত্যাদি। রান্না করেছিলো দূতাবাসের সুরক্ষায় নিয়োজিত CRPF কোম্পানির পাচক। রান্না বেশ সুস্বাদু হয়েছিলো।

নৈশভোজের পরে কিছু আতশবাজি হলো, স্থানীয়রা খুব আনন্দে যোগদান করে। রাত্রে রাজদূত এবং দূতাবাসের বরিষ্ঠ অধিকারীদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা মেরে বাড়ি ফরে আসি। অনেক বছর পরে বাগদাদে এবার বড়ো করে দিওয়ালী উদযাপন হলো। খুব ভালো লাগলো — সবাই খুব আনন্দ করলো।

7 thoughts on “বাগদাদে দিওয়ালী

I'd love to hear your thoughts on this post! Please leave a comment below and let's discuss.